বরিশালে কমেছে মৃত্যু-শনাক্ত, ১৯৩ শয্যা খালি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন একজন। একই সময়ে মেডিক্যালের পিসিআর ল্যাবে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এইকভাবে বিভাগেও কমেছে মৃত্যু এবং শনাক্তের হার।

করোনা ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ভর্তি ছিল সাড়ে ৩০০ রোগীর ওপরে। সেখানে রবিবার ভর্তি আছেন ১০৭ জন। যাদের মধ্যে ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে ৩০০ বেডের করোনা ওয়ার্ডে ১৯৩টি বেড খালি।

হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। এদের মধ্যে ছয় জন ছিলেন করোনা রোগী। একই সময়ে ছয় জন করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। এদের পাঁচ জন করোনা রোগী। ৩০টি আইসিইউ শয্যায় চিকিৎসাধীন ১৩ জন।

মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে শনিবার রাতে সর্বশেষ ১৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সাত হাজার ৩৪ রোগী। এদের মধ্যে দুই হাজার ২৩৭ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। ছাড়পত্র নিয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৮৫ জন। এদের মধ্যে পজিটিভ ছিলেন এক হাজার ৭৯৪ জন। এক হাজার ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ৩৯৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩২ জনের। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৬৭ জন। মারা যাওয়া ছয় জনের মধ্যে বরিশালে দুই জন, ভোলায় দুই জন, পিরোজপুরে একজন ও বরগুনায় একজন। সব মিলিয়ে বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৫৪ জন।

গত ২ আগস্ট বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৩১ জনের। এদের মধ্যে করোনায় ১৩ ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন মারা যান। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭৯৮ জনের।

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, কঠোর লকডাউন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং টিকা গ্রহণের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তবে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, সংক্রমণ কমলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। একই সঙ্গে টিকা নিতে হবে।