বরিশাল নগরীর ৩ এলাকায় হর্ন বাজালেই জেল

বরিশাল নগরীর শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও শহীদ অ্যাডভোকেট আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই তিন এলাকায় শব্দ দূষণরোধে প্রচারণা চালিয়েছে পরিবেশ অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় এলাকায় এ প্রচারণা চালানো হয়।  

এ সময় শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া, সহকারী বায়োকেমিস্ট মুনতাছির রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সমন্বয়কারী রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল জেলা তথ্য অফিস প্রচারণার এ কাজ পরিচালনা করছে। প্রচারণায় স্থানীয়দের শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুসারে নীরব এলাকায় হর্ন না বাজানোর বিষয়ে সচেতন করা হয়। প্রচারণার অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়, শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। এতে উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসজনিত জটিলতা, ক্ষুধামন্দা, হৃদরোগ, মস্তিষ্ক বিকৃতি, অনিদ্রা ও স্মরণশক্তি হ্রাস পায়।

আইন অমান্যকারীরা একমাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলে জানানো হয়। পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। 

প্রচারণায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, প্রথম পর্যায়ে সবাইকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে প্রচার-প্রচারণা চলছে। দ্বিতীয় ধাপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে কঠোরতা অবলম্বন করা হবে। এরপরও শব্দ দূষণ না কমলে সরাসরি আইন প্রয়োগ করা হবে।