গৃহবধূর চোখমুখ বেঁধে ধর্ষণের পর গায়ে ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ঘুমন্ত গৃহবধূকে গামছা দিয়ে চোখমুখ বেঁধে ধর্ষণ ও গরম বস্তু দিয়ে শরীরে ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান মৃধাকে (৪২) প্রধান আসামি করে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেন।

মামলায় আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ প্রধান আসামিকে ওই দিন রাতেই উপজেলার ছোটবাইশদিয়া থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের নিজ বাসগৃহে ঘুমাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। এ সময় হাসান মৃধা ও অজ্ঞাত ব্যক্তি তার ঘরে ঢুকে গামছা দিয়ে গৃহবধূর চোখমুখ বেঁধে ফেলে। অজ্ঞাত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর দুই হাত ধরে রাখে। এক পর্যায়ে হাসান মৃধা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে গরম বস্তু দিয়ে গৃহবধূর বাম হাতে এবং কোমরে ছেঁকা দেয়।

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পরে হাসান মৃধাকে রবিবার  রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় গলাচিপা থেকে তাকে দশমিনা আদালতে নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর জবানবন্দির জন্য ওই আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’