নবজাতক সন্তানকে দেখা হলো না রিয়াজের

প্রথম সন্তান জন্মের ১০ বছর পর দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হন রিয়াজ। জন্মের পর থেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল শিশু সন্তানটি। বর্তমানে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। অফিস থেকে ছুটি না পাওয়ায় এত দিন যেতে পারেননি রিয়াজ।

সাপ্তাহিক ছুটিতে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অভিযান-১০ লঞ্চে বরগুনার বেতাগীতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ছোট ছেলে সিফাতুল্লাহর চাঁদমুখ দেখার আগেই ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার।

রিয়াজ (৩৫) বেতাগী উপজেলার কাজীরাবাদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে। দুই ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট।

রিয়াজের মা পিয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘রিয়াজের স্ত্রী মুক্তা ও তার ছেলে সিফাতুল্লাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছেলে বাবার জন্য হাসপাতালে অপেক্ষা করছে। আমি এখন আমার ছেলের লাশ নিয়ে কীভাবে তাদের সামনে যাব?’

রিয়াজের চাচা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রিয়াজ দীর্ঘদিন ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। অসুস্থ ছোট ছেলেকে দেখতে বৃহস্পতিবার বেতাগীর উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে জীবিত নয়, লাশ হয়ে ফিরলো সে। ঝালকাঠি থেকে তার লাশ শনাক্ত করে নিয়ে বেতাগীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। শনিবার সকালে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’