৮০০ বস্তা সরকারি চালসহ গ্রেফতার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কারাগারে

সরকারি খাদ্য গুদামের ৮০০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি চেষ্টার মামলায় বরিশালের বাবুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফরিদা খাতুনসহ (৩২) দুই জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভীন বাদী হয়ে ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন, তার সহযোগী মোফাজ্জেল খান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রসুল জমাদ্দারসহ পাঁচ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) তাজুল ইসলাম জানান, বাবুগঞ্জের ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাবুগঞ্জের ইউএনও এবং থানার ওসিকে নিয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় অভিযুক্তরা একে অপরের সহযোগিতায় উপজেলা খাদ্য গুদামের ৩ নম্বর গুদামের সরকারি চাল নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে বেসরকারি বস্তায় ভরছিল। সেখান থেকে গুদামের চাল ভরা ২৫ কেজির ৮শ’ বস্তাসহ ৩ নম্বর গুদাম সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া ৫১০টি সরকারি চালের খালি বস্তা ও মিনিকেট চালের জোড়া কবুতর প্রতীক ও ডলফিন ব্র্যান্ডের চালের এক হাজার খালি বস্তা জব্দ করা হয়। 

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অলিউল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টার অপরাধে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।