ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে শিক্ষার্থীর খরচের ভার নিলো পুনাক

শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা ও বাসাবাড়িতে কাজ করা মায়ের একমাত্র কন্যা সোমা রায়ের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিলো পুলিশ। তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের সহধর্মিনী বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যান সংস্থার (পুনাক) সভানেত্রী জীসান মির্জা। তার দেওয়া উপহার শনিবার বিকালে বরিশাল পুলিশ কার্যালয় থেকে সোমার হাতে তুলে দেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আর্থিক অনটনের একটি পোস্ট পুনাকের নজরে এলে এ উদ্যাগ নেওয়া হয়। 

সোমার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে। এ বছর বারোপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে অশোক রায় ও শিখা রানীর একমাত্র সন্তান সোমা।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমার এসএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এইচএসসিতে ভর্তিসহ উচ্চ শিক্ষার্থে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অনটন। আর এ খবরটি ফেসবুকে তুলে ধরা হলে তা দৃষ্টিগোচর হয় পুনাক সভানেত্রী জীসান মির্জার। বিষয়টি সত্যি কিনা তা দেখতে তদন্ত করতে বলেন এখানার পুলিশ বিভাগকে। বিষদ তদন্তে সোমার আর্থিক অনটনের বিষয়টি সত্য হওয়ায় তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন পুনাক সভানেত্রী। এরপর ওই পরিবারকে পুনাক সভানেত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার খবরটি জানানো হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে বরিশাল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সোমাকে তার পিতামাতাসহ ডেকে আনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন ও আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ার। এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমার হাতে পুনাক সভানেত্রীর পাঠানো উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্য বইসহ শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।

ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রথম পর্যায়ে সোমার লেখাপড়ার জন্য এইচএসসির বই এবং শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার কলেজে ভর্তি এবং পরে লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ পুনাক বহন করবে বলে জানান ডিআইজি।

পুনাক সভানেত্রী জিসান মীর্জার সহায়তায় আর্থিক অনটন উচ্চশিক্ষায় বাধা না হওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞাত প্রকাশ করেন সোমা। সে অসহায়-গরিব মানুষের পাসে দাঁড়াতে চিকিৎসক এবং একজন সৎ মানুষ হতে চান। এ জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন।