প্রেমিকার বাবার ধাওয়ায় ইঁদুরের ফাঁদে প্রাণ গেলো স্কুলছাত্রের

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নে গভীর রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে ইঁদুরের ফাঁদে প্রাণ হারিয়েছেন স্কুলছাত্র সুমন খন্দকার (১৮)। সোমবার (৭ মার্চ) গভীর রাতে ইঁদুর থেকে ধান রক্ষায় অবৈধভাবে দেওয়া ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সুমন মারা যান। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা হাসপাতাল থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো। রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মর্গে ছিল লাশ।

মারা যাওয়া সুমন উপজেলার বাউরগাতি গ্রামের দুবাই প্রবাসী ইব্রাহিম খন্দকারের ছেলে এবং বাউরগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় আজ দুপুরে নিহতের চাচা ইউনুস খন্দকার বাদী হয়ে ধান ক্ষেতের মালিক আবুল মীরকে আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা করেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। বিষয়টি টের পেয়ে প্রেমিকার বাবা ধাওয়া করেন। তখন সুমন বোরো ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে পালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চাচা ইউনুস খোন্দকার অভিযোগ করেন, গ্রামের আবুল মীর গোপনে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বোরো ধান ক্ষেতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতেন। সোমবার রাত ২টার দিকে সুমন ও তার বন্ধু শিফাত বেপারী নিজের বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের তারে সুমন স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

অভিযোগের বিষয়ে আবুল মীর দাবি করেন, ফসল রক্ষার জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা হয়েছে। বুঝতে পারিনি গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটবে।

গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছে মৃতের পরিবার। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।