‘মুহূর্তের আগুনে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম’

রাত ১১টা। খাবার খেয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মাত্রই ঘুমিয়েছেন নাজমুল হাওলাদার। হঠাৎ পাশের একটি বাড়িতে আগুন লাগে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ও পাশের আরেকটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশীদের ডাক-চিৎকালে জেগে উঠে তারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর মুহূর্তে তিনটি বসতঘর ‍পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বৈদারাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদারাপুর গ্রামের আলী আজিমের টিনের ঘরে রাতে কেউ ছিল না। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের নাজমুল হাওলাদার ও হারুন হাওলাদারের টিনের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিবেশীদের ডাক-চিৎকারে তারা জেগে ওঠেন। এরপর স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। তবে সড়ক ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। পরে ভ্যানে করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

নাজমুল হাওয়ালাদের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, ‘আগুনে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, ‘রাস্তা খারাপ থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে পারেনি। সময়মতো আসতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। তিনটি ঘর পুড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

ঝালকাঠি ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার শফিফুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।