ধর্মঘট প্রত্যাহার, কুয়াকাটায় খুলেছে খাবার হোটেল

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকালে দরবার হলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে খাবার হোটেল মালিকদের এক বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী। এ ঘোষণায় স্বস্তি ফিরে আসে পর্যটকদের মধ্যে। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুমায়ুন কবির ও পটুয়াখালী জেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক শীলা রানী দাস। এছাড়া হোটেল মালিক সমিতির প্রতিনিধি দলের ১৫ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।

পচা খাবার দেওয়ায় জরিমানা, কুয়াকাটায় রেস্তোরাঁ মালিকদের ধর্মঘট

হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মুন্সী বলেন, আমরা অনেকটা নিরুপায় হয়ে খাবার হোটেল বন্ধ রেখেছিলাম। এতে পর্যটকরা সাময়িক সমস্যায় পড়েছেন। আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। এতে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন এবং আমাদের সেবার মান বাড়ানোর কথা বলেছেন। 

হোটেল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন পর্যটকরাধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, পর্যটকদের জন্য সেবার মান বাড়ানোর জন্যই মূলত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। খাবার হোটেল মালিকরা বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পাশাপাশি সেবার মান বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। 

খাবারের দাম বেশি রাখা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য দেওয়ায় জরিমানা

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে কুয়াকাটা পৌর শহরের চৌরাস্তা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে পচা ও বাসি খাবার বিক্রি ও সংরক্ষণের দায়ে চারটি রেস্টুরেন্ট মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছেনমং রাখাইন। এর আগেও বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় পচা-বাসি খাবার বিক্রিসহ অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব ঘটনায় খাবার হোটেল মালিকরা বুধবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় কুয়াকাটার সব খাবার হোটেল। ভোগান্তিতে পড়েন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।