বিষখালী ও হলতা নদীর জোয়ারের পানিতে ঝালকাঠির ২৭ গ্রাম, অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে গেছে কাঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ। গ্রামীণ কাঁচা-পাকা ১০টি সড়কে গর্ত হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ওই সব গ্রামের সাধারণ জনগণ।
স্থানীয়রা জানান, জেলায় রবিবার থেকে অবিরাম বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বিষখালী ও হলতা নদীর তিন থেকে চার ফুট উঁচু জোয়ারের পানিতে ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ে। জোয়ারের পানিতে উপজেলার আউড়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অফিস ভবন, নির্বাহী অফিসারের বাসভবন, কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্র, কাঠালিয়া লঞ্চঘাট, সিকদার পাড়া, পশ্চিম আউরা জেলে পাড়া, আমুয়া হাসপাতাল ও আমুয়া বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এদিকে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, দুই-এক দিনের ভেতর পানি না কমলে রোপা আমন ধান পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, জোয়ারের পানিতে ৪০ শতাংশ মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে।
কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোস্টাল এরিয়া ঘোষণা করা এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সমাধান হবে না।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বিষখালী ও হলতা নদীর পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের সব কয়টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।