জেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রস্তাব-সমর্থনকারীরই ভোট পাননি ৪ প্রার্থী 

ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপদে চার সদস্যপ্রার্থী শূন্য ভোট পেয়েছেন। তারা প্রস্তাব ও সমর্থনকারীদেরই ভোট পাননি। এই চার প্রার্থী হলেন ৩ নম্বর রাজাপুর ওয়ার্ডের মুকুল মৃধা, ৪ নম্বর কাঠালিয়া ওয়ার্ডের অ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীম, সংরক্ষিত নারী (রাজাপুর-কাঠালিয়া) ওয়ার্ডের জোৎস্না খানম ও সোনিয়া আক্তার। এরা সবাই সরকার দলীয় নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। 

নির্বাচনে রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলা থেকে সদস্যপদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা।  

মুকুল মৃধা রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের পদে রয়েছেন। কাঠালিয়া উপজেলা আ.লীগ নেতা অ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীম ও জোৎস্না খানম সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তবে জোৎস্নার স্বামী কাজল সিকদার কাঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। আর সোনিয়া আক্তারের বড় বোন ইয়াসমিন রাব্বী পপি কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি পদে আছেন। পপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মাঠে আছেন। তবে প্রার্থীরা কোনও ভোট না পাওয়ায় সাধারণ মানুষ আশ্চর্য হয়েছেন।
 
এদিকে মুকুল মৃধা সোমবার (১৭ অক্টোবর) ভোটের দিন দুপুর ১২টায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ভোটারদের ওয়াদা মতো আমার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত।’ তবে ফল ঘোষণার পর এই নেতা বলেন, ‘আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। জেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন, কিন্তু আমি তা করিনি। এটাই ছিলো আমার অপরাধ।’

জোৎস্না খানমের স্বামী কাজল সিকদার বলেন, যেহেতু ভোট কেনা-বেচা হয়েছে। তাই আমরা নির্বাচিত হতে পারবো না দেখে আগেই ভোটারদেরকে জাহানারা হককে ভোট দিতে বলেছি। তাই আমরা কোনও ভোট পাইনি।

অ্যাড. সৈয়দ জাহাঙ্গীর শামীমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।  

ভাইয়ের ভোটও পাননি সোনিয়া
প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর ভোট পাননি প্রার্থী সোনিয়া। এমনকি সোনিয়া আক্তারের আপনভাই রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মিজানুর মাঝির ভোটটিও পাননি তিনি। মোবাইলফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার এ নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই।