টিসিবির পণ্যের জন্য কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে নগরবাসী

রমজান চলে আসলেও বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। টিসিবির পণ্যের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে ধরনা দিচ্ছেন ওয়ার্ডবাসী। ‘আজ না কাল’- এভাবে তারা কালক্ষেপণ করায় কোথাও থেকে সদুত্তর মিলছে না। তবে বরিশাল টিসিবি অফিসের কর্মকর্তাদের সাফ জবাব— সবকিছু প্রস্তুত, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশনা পেলেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে। 

নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব এবং নাম প্রকাশ না করা শর্তে আরও একাধিক কাউন্সিলর জানান, টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য নগরবাসীর প্রশ্নবানে তারা জর্জরিত। কিন্তু টিসিবির অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সিটি মেয়রের দোহাই দিচ্ছে। 

নগরীর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় গিয়ে টিসিবি পণ্য বিক্রির দিনক্ষণ জানতে চাইছে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তারাও সদুত্তর দিতে পারছেন না। রোজার আগে দেওয়া হবে বলে তাদের জানিয়েছেন।

এর আগে ১০ মার্চের মধ্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরুর আশ্বাস দিয়েছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল মারুফ। তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের (১৬ মার্চ) মধ্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু হতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও সব পণ্য হাতে পাইনি। যা যা টিসিবি পাবে তা আমাদের বুঝিয়ে দেবে। আর এর সঙ্গে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কোনও সম্পর্ক নেই।’

সোহেল মারুফ বলেন, ‘টিসিবি সম্পূর্ণ পৃথক প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশনের প্রয়োজন হলে টিসিবির কাছে সাহায্য চাইতে পারে। টিসিবির কোনও কাজে সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নেই। অনুমতি নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।’

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

বরিশালে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু হয়নি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান। তিনি বলেন, ‘টিসিবির পণ্য বিক্রিতে মেয়রের নির্দেশনা কেন লাগবে! আমি এখনই বিষয়টি দেখছি।’