রাঙামাটিতে আ.লীগ নেতাদের ওপর হামলা: জেএসএস ও পিসিপি’র ৯ কর্মী গ্রেফতার

রাঙামাটিরাঙামাটির বিলাইছড়ি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমা ও রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসার ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সদস্য বলেও পুলিশ জানিয়েছে।  

আটককৃতরা হলেন বিলাইছড়ি জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমা, বিটন চাকমা (২৯), বাবু চাকমা (২৭), মঙ্গল মনি চাকমা (২৬), সাধন চাকমা (২৮), রিকন চাকমা (২৮), কালনজিৎ চাকমা (২২), রূপম চাকমা (২৪), সমর বিজয় চাকমা (২৯)।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিলাইছড়ি ও রাঙামাটির ঘটনায় পৃথক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সবাই। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরের পর তাদের আদালতে তোলা হবে।’

উল্লেখ্য বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসাকে (৫৫) স্বামী ও সন্তানসহ কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তাদের আহতাবস্থায় রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাম চরন মারমা ওরফে রাসেল মারমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় ১০-১২ জনের একটি দল। ওই দিনই রাত ৮টার দিকে জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একের পর এক সহিংসতার ঘটনায় পুরো রাঙামাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জেলা আওয়ামী লীগ এসব ঘটনার জন্য জেএসএসকে দায়ী করছে। তবে জেএসএস হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন- 

রাঙামাটিতে এবার স্বামী ও সন্তানসহ আ.লীগ নেত্রীকে কুপিয়ে জখম

রাঙামাটিতে আ. লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

পাহাড়ে হত্যা-হামলার দায় কার?