লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত সাংবাদিক পলাশের মৃত্যু, আটক ১

সাংবাদিক পলাশ

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধর জের ধরে হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শাহ মনির পলাশের (২৮)মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পলাশ সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। পলাশ দৈনিক রুপবানী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক ফলপ্রার্থী ছিল।

তার মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে এবং খুনিদের শাস্তির দাবি জানায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে পলাশদের বাগান থেকে তার দুই চাচাতো ভাই গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা হলেন, আবু ইউছুফ (৫০) ও আবু ছায়েদ (৪৫)। এ সময় তাদের বাধা দেওয়ায় তারা পলাশের বাবাকে ইট নিক্ষেপ করে। এসময় তিনি বাবা পড়ে যান এবং আহত হন। পলাশ তারা বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে ওই দুই ভাই রড দিয়ে তার মাথায় ও বুকে আঘাত করে। মাথা আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গে পলাশ জ্ঞান হারায়। এসময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে পলাশের বোন নাছিমা আক্তারকেও (৩৫) তারা মারধর করে ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে পলাশকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে নোয়াখালী হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ নাছিমনগর গ্রামের হাজী আক্তারুজ্জামানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। এঘটনায় আবু ইউছুফের স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে আটক করেছে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পলাশকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থাতায় তার মৃত্যু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।  জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।  

আরও পড়ুন: হিলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক আটক