দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত ১১ এপ্রিল কুমিল্লা দাউদকান্দি থেকে কাপড়বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান ছিনতাই হয়। তিনদিন পর ছিনতাই হওয়া কাভার্ডভ্যানটি ঢাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছিনতাইয়ের ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গত ১৬ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে ডাকাত বাবুল এবং মারুফ আহম্মদ লাভলুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার সময় ওই দু’জনকে নিয়ে এ ছিনতাই ঘটনার জড়িত অপর সদস্যদের ধরা জন্য পুলিশের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়পুর এলাকায় যায়। তখন ওই স্থানে অবস্থান নেওয়া ডাকাতের একটি দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় বাবুল পালাতে চেষ্টা করলে পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাত বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এসময় দাউদকান্দি থানার পরিদর্শক তদন্ত নুরুল ইসলাম মজুমদার, এএসআই প্রদীপ দাস, কনস্টেবল ইব্রাহীম ও সোহরাব আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি পাইপগান ও গুলি উদ্ধার করে।
পুলিশ আরও জানায়, বাবুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থানায় ৮টি ডাকাতি মামলাসহ ২২টি মামলা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় আটক অপর ডাকাত সদস্য লাবলু মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চর বাহাদুর পুর গ্রামের আইনাল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধেও ৫টি মামলা রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা দাউদকান্দি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।