ভূমি বিরোধ নিয়ে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা

খাগড়াছড়িভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার বাবুছড়ায় আবারও পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সোমবার এ ঘটনা ঘটে। তবে দিঘীনালা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

দিঘীনালা থানার অফিসার ইনচার্জ শামছুদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ‘সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাবুছড়ার বাঙালি নেতা আবদুল মালেকের নেতৃত্বে এক‘শ থেকে দেড়‘শ বাঙালি সোনা মিয়া টিলায় যায়। তাদের আসার খবর পেয়ে সেখানে ৩০০-৪০০ পাহাড়ি জড়ো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শহীদুল ইসলাম ও অফিসার ইনচার্জসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বাঙালিদের বাবুছড়া বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।

বাঙালি নেতা আবদুল মালেক জানান সরকার বাহাদুর ১৯৮০-১৯৮১ সালে ৮১২ পরিবারকে পাঁচ একর করে বন্দোবস্তি দেন। নিরাপত্তার অজুহাতে ১৯৮৮ সালে তাদেরকে বাবুছড়া এবং মধ্য বোয়ালখালী এলাকায় এনে রাখা হয়। এই সুযোগে পাহাড়ি লোকজন তাদের জায়গা জমি দখল করে সেখানে সাধনা বন বিহার স্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় তার প্রশাসনের নজরে আনার চেষ্ট করছেন।

বাবুছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান পরিতোষ চাকমা বলেন ভূমি বিরোধ দীর্ঘ দিনের। সাধনা টিলায় পাহাড়ি জনগণের পবিত্র বিহার রয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সবাইকে ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর প্রতি সম্মান জানানোর অনুরোধ করেন।