বিলাইছড়ির ঘটনার তিনদিন পর মামলা

রাঙামাটি

রাঙামাটির দুর্গম এলাকা বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চগ্যাকে গুলি করে হত্যার তিন দিন পর শনিবার সকাল ১১টার দিকে মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাওকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বিলাইছড়ি থানার ওসি মো. পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কিছুক্ষণ আগে উপজেলা যুব লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উপজেলা জেএসএস এর সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমাসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ  অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় দেরিতে হওয়া সম্পর্কে বিলাইছড়ি থানার ওসি মো.পারভেজ জানান,‘ আমরা নিহতের পরিবারের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। এছাড়াও পরিবারে সদস্য মারা যাওয়ার বিষয়টি মাথা রেখে আমরা তাদেরও কোনও চাপ দেইনি। অন্যদিকে তারা যে এলাকায় থাকেন সেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এ কারণে মামলা নিতে তিন দিন দেরি হয়েছে।

এর আগে হত্যার ঘটনা বর্ণনা করে সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে নিরুপম তঞ্চঙ্গ্যা বলেন,‘আমি ও মা-বাবাসহ আরও চারজন বোটে করে ফারুয়ায় নির্বাচন শেষে উপজেলা সদরে আসছিলাম। হঠাৎ দেখলাম বোটম্যান বোট থামিয়ে দিলো, আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি হলো, বোট থামলে কেন, তখন সে উত্তর দিলো পিছন থেকে কারা ডাকছে। আমি তাকে বললাম থামতে হবে না, তুমি বোট চালিয়ে যাও, তখন সে বললো, বোট না থামালে ওরা গুলি করবে বলছে। এরপর অস্ত্রধারী তিনজন এসে আমাকে আর বাবাকে উপরে তুলে নিলো। এসময় মাকে লাথি দিয়ে পানিতে ফেলে দিলো। তারা ওপরে তোলার পর আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে রাখে এবং আমার বাবার কপালে ও পেটে গুলি করে চলে যায়। মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেলো।’ তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর এই হামলার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনসংহতি সমিতির জেলা সম্পাদক নীলোৎপল খীসা।