১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি ভেতরে রেখেই ভবন নির্মাণ!

১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের খুঁটিসহ ভবন নির্মাণ

চাঁদপুরে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শপথচত্বর এলাকার গুয়াখোলা রাস্তায় ঢোকার মুখেই (পশ্চিম পাশে)। জাহাঙ্গীর হোসেন ও এমএ হাসান লিটন নামে দুই ব্যক্তি এ ভবনটি করছেন বলে জানা গেছে।

শপথচত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের ভিতরেই ১১ হাজার ভোল্টের লাইনসহ বিদ্যুতের খুঁটি। এই খুঁটির ওপরের অংশ বিদ্যুতের মেইন লাইনসহ ভবনের ওপরের অংশের ভেতরে ঢুকে গেছে। এতে যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় কয়েকজন বললেন, ‘ভবন মালিকদের নিষেধ করলেও তারা তা শুনেন নি। এমনকি ভবন নির্মাণের ঠিকাদার এবং নির্মাণ শ্রমিকরাও এভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তারপরও তারা অনেকটা গায়ের জোরে করাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ভবনের অংশীদার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন কাজ বন্ধ রেখেছি। কারণ, নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের আগে ভাবতে হচ্ছে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তো আমাদেরই বিপদ। বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও একটু হতাশার মধ্যে আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদপুর আসলেই এটির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আসার পর বিদ্যুতের খুঁটির এই সমস্যার সমাধানের হবে।’

এ বিষয়ে কথা হলে চাঁদপুর পিডিবি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার পর নিয়ম মেনে ভবন করার জন্য মালিক পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। তাদের বিদ্যুতের খুঁটি থেকে কমপক্ষে ১ ফুট বা নিরাপদ দূরত্ব রেখে ভবন করার জন্য চিঠি দিয়েছি। এ চিঠির অনুলিপি আমরা জেলা প্রশাসক ও মেয়র, চাঁদপুর পৌরসভাকেও দিয়েছি। চিঠির জবাব দেওয়া অথবা আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ মালিক পক্ষ এখনও করেনি।’


তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়টি পৌরসভার দেখার কথা। পৌরসভা কীভাবে প্ল্যান পাস করেছে? কতটুকু জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিয়ে বিল্ডিং করতে হবে তা তো পৌর কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আমাদের তো ভবন ভাঙার ক্ষমতা নেই। তবে তারা যদি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ভবন না করে অথবা নির্মিত ভবনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমরা মামলা করবো।’