বাঞ্ছারামপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও যমজ নবজাতকের মৃত্যু?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি ও তার যমজ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. সালাহ্ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত প্রসূতির নাম রত্না। তিনি উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের ইমাম নগরের মোহন মিয়ার মেয়ে।

রত্নার স্বামী জামির মিয়া বলেন, “আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিল। নিয়মিত তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে চেকআপ করাচ্ছিল। ওই হাসপাতালের দেওয়া তারিখ অনুয়ায়ী ২১ আগস্ট তার ডেলিভারির তারিখ ছিল। কিন্তু আজ বিকালে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন খান বলেন, ‘আজকেই তার (রত্না) ডেলিভারি করাতে হবে’। পরে চিকিৎসকের কথায় সায় দিয়ে রত্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। এরই মধ্যে প্রসূতির ডেলিভারির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। পরে চিকিৎসক রোগীকে ওটিতে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জাহিদ হোসেন খান হাসপাতাল থেকে নীরবে বের হয়ে যাচ্ছিলেন; এসময় রত্নার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাই। কিন্তু কোনও কথা না বলে চলে যান চিকিৎসক জাহিদ।”

জামির মিয়া আরও বলেন, “এরপর হাসপাতালের এক নার্স আমাকে বলেন, ‘তোমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়; তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নিতে হবে’। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বলেন ওই নার্স। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। পরে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর সময় রত্নাকে অচেতন দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে অন্য চিকিৎসক ও নার্সদের চেপে ধরলে তারা জানায়, রত্না ও আমার যমজ সন্তানেরা মারা গেছে।’ চিকিৎসক জাহিদ হোসেন খানের ভুল চিকিৎসায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ওসি মো. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘প্রসূতি ও যমজ নবজাতক মৃত্যুর খবরে হাসপাতালের সামনে উত্তেজিত জনতা ভিড় করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে এসময় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’