সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনে স্থাপিত কমিশনের জেলা কার্যালয়ে সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৮টা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা সভাস্থলের প্রবেশপথে অবস্থান নেয়। প্রধান সড়কটি অবরুদ্ধ থাকায় রাঙামাটি শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যেই কমিশন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। তাদের দাবি-দাওয়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো এবং দেশের সংবিধান ও আইনের বাইরে কিছু না করার ঘোষণা দেয়। তার আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দিকে চলে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেয়।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোলাইমান বলেন, ‘প্রবিধান প্রণয়নে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে যে সুপারিশমালা পাঠানো হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।’ এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে বাঙালি প্রতিনিধি রাখার দাবিও জানান তিনি।
ঘেরাও কর্মসূচি তুলে নেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা, কমিশনের সদস্য তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবোমাং ও চাকমা সার্কেল চিফ উপস্থিত হলে শুরু হয় কমিশনের নির্ধারিত বৈঠক।