নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দু’জন গ্রেফতার

গ্রেফতার আরও দুজননোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের একজন একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ (৪৮)। আরেকজন এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি সাজু (২১)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  পলাতক আসামি সাজুকে সোমবার (৫ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে জেলা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। মোয়াজ্জেম হোসেনকে একই রাত সাড়ে ১২টার দিকে জয় কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান,  মোয়াজ্জেম হোসেন একলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

এর আগে, রবিবার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার রহিম (২০) ও রাতে একই এলাকার রহমত উল্যাহ (৪১)-কে গ্রেফতার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও সাজু

প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ ৫ তরুণ। ঘটনার ৩২ দিন পর রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে আটকও করা হয়েছে।

ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এসময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।