এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাশফিকুল হকের আদালতে প্রধান আসামি বাদল ও ৫ নম্বর আসামি সাজু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে ৭ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া রিমান্ড শেষে ৯ নম্বর আসামি রহমত উল্যাকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারি বলেন, স্থানীয় লোকজনকে সাক্ষী করে আলামতগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে জেলা পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
গত শুক্রবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নির্যাতিতার দায়ের করা দুটি মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকেন, তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।