নীলাচলে লেগেছে প্রকৃতির ছোঁয়া

করোনা প্রকোপের কারণে এবারে পর্যটক না থাকলেও প্রকৃতির ছোঁয়া লেগেছে বান্দরবান শহরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র নীলাচলে।

প্রতিবছর ঈদের এ দিনে পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকে মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুকসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বছরের ঈদে পর্যটন কেন্দ্রগুলো পড়ে আছে প্রাণহীন অবস্থায়।

পর্যটকের না থাকায় পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল প্রকৃতির ছোঁয়ায় অন্যরূপে সেজেছে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। গাছে গাছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ফুটেছে। গাছের মগডালে বসে পাখি মনের আনন্দে কিচিরমিচির করছে; যা পর্যটকের আনাগোনায় সাধারণত দেখা যায় না।

এ বিষয়ে নীলাচলে থাকা মহাদেব বলেন, সবসময় পর্যটক থাকলেও কোন পর্যটক গাছের ফুল আর সবুজের এমন সমারোহ দেখেনি। তিনি বলেন, পর্যটকরা গাছের পাতা, ফুল এমনকি ডাল পর্যন্ত ভেঙে ফেলে। তাই এমন প্রকৃতি দেখা যায় না। পর্যটক না থাকলে নীলাচলের আসল রূপ ফিরে আসে।

নীলাচলের পার্শ্ববর্তী টাইগার পাড়ার কারবারী ভীরু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, নীলাচল আসলেই সুন্দর। তবে পর্যটক থাকলে একরকম আর পর্যটক না থাকলে অন্যরকম সুন্দর।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমির পারভীন তিবরীজি বলেন, করোনা মহামারির কারণে পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটক না থাকলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রকৃতির যে ছোঁয়া লেগেছে তা দেখলে সকলের নজর কেড়ে নেয়। চারদিকে ফুল আর পাখির কলধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। যা সত্যিই মুগ্ধ করার মত।