এই সরকারের আমলে কেউ না খে‌য়ে মরবে না: বীর বাহাদুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণাল‌য়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ‌শৈ‌সিং এম‌পি। তিনি ব‌লে‌ন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেউ না খে‌য়ে মরেনি। আগামীতেও দে‌শের মানুষ না খে‌য়ে মরবে না।’

বৃহস্প‌তিবার (২০ মে) সকা‌লে বান্দরবানের রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মা‌ঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করার সময় মন্ত্রী একথা ব‌লেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘বর্তমান সরকারর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রসে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আর গরিব মেহনতি মানুষ স্বাচ্ছ‌ন্দ্যে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। ঝড় তুফান আর বন্যার মতো মহামারি  এলে মানুষের কষ্ট হয়, তবুও তারা ঘুরে দাঁড়া‌তে পা‌রে।’

তিনি বলেন, ‘বাড়িতে আগুন লাগলে মানুষের জীবনে কিছুই থাকে না, তাই আমাদের আগুন নিয়ন্ত্র‌ণের জন্য পূর্ব প্রস্তু‌তি রাখা দরকার।’ এ সময় তি‌নি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণাল‌য়ের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোকে এই দুঃসময়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থে‌কে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৭০টি পরিবারকে পরিবারপ্রতি নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ৫০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখার পক্ষ থে‌কে প্রতিটি পরিবারকে ২ বান্ডিল টিন, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যদের পক্ষ থে‌কে একটি করে বালতি, পানির জগসহ বিভিন্ন সমাজসেবার পক্ষ থে‌কে গৃহস্থালিসামগ্রী প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজা সরোয়ার, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবেদ, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা, জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদস্য কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বান্দরবান ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কা‌ন্তি দাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বো‌র্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাতসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও অগিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য এবং পাড়াবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ মে রাত ১টায় ভয়াবহ আগুনে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ায় ৭০টি বসতবাড়ি পুড়ে যায় এবং এতে সব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছে অসংখ্য মানুষ।