শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ের জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জামাতা লালমিয়া হাওলাদারের (৫২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বরিশালের মো. হাওলাদারের ছেলে। তার স্ত্রী সালেহা বেগম জর্ডানে কর্মরত।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) মধ্যরাতের দিকে তিনি গাছের ডালের সঙ্গে গলায় গামছা লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তবে এ ঘটনার সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ তারা জানাতে পারেনি।

লালমিয়া হাওলাদারের শাশুড়ি লিলু বেগম জানান, লালমিয়া ১৭ বছর আগে সালেহা বেগমকে কোর্টের মাধ্যমে ঢাকায় বিয়ে করেন। সেসময় ২-৩ বছর সংসার করার পর তিনি হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান। সালেহা অনেক খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে জর্ডানে চাকরির জন্য চলে যান। এ ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পর লালমিয়া তাদের মেয়ে লামিয়া আক্তারের সঙ্গে মোবাইলফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে লালমিয়া তার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এরপর তিনি কয়েকবার ঢাকায় যাওয়া-আসা করেন। গত রাতে খাবার খেয়ে তিনি শুয়ে পড়েন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রতিবেশী বাবুল মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগম গাছের সঙ্গে লালমিয়ার মরদেহ ঝুলতে দেখেন।

এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মতলব উত্তর থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

লালমিয়া হাওলাদারের মেয়ে লামিয়া আক্তার জানান, আমার জন্মের দীর্ঘ ১৪ বছর পর আমি আমার বাবাকে দেখেছি। তিনি কেন এমন করেছেন, তা জানি না। আমার বাবা ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতো এবং আরও দুটি বিয়ে করেছেন বলে জানতে পেরেছি।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।