হত্যার পর লাশ গুমের আশঙ্কায় কাদের মির্জার জিডি

নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীসহ ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

কাদের মির্জা অভিযোগে উল্লেখ করেন, এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ তার তিন ভাগিনা দেশের মধ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া, আমেরিকাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নুরুল করিম জুয়েল, তার শ্বশুর আল-আমিন, সেলিম চৌধুরী ভিপি বাবুল, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান ছোটনসহ অনেকে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেছেন। এতে তিনি ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করেছেন।

কাদের মির্জা আরও উল্লেখ করেন, গত শনিবার (৫ জুন) আমেরিকার সময় রাত ১০টায় বাংলাদেশ সময় রবিবার (৬ জুন) সকাল ৮টায় এমপি একরামের কবিরহাটের বাড়ি ও আমেরিকায় আল-আমিনের ম্যাকডোনাল্ডের বাড়িতে বিবাদীরা বৈঠক করে তাকে (কাদের মির্জা) হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন।

এছাড়া বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তার ভাগিনা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর বসুরহাট পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসায় বৈঠক করে কাদের মির্জার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও তার পরিষদের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অনাস্থা দিয়ে তাকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার কাদের মির্জা হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।