কষ্টে আছেন শুনে বিনতীর বাড়িতে ছুটে গেলেন ডিসি

তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বিনতী ত্রিপুরা (৩৯)। খবর পেয়ে তার বাড়িতে মানবিক সহায়তা নিয়ে ছুটে গেলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম ওয়াক্রাকপাড়া এলাকায় বিনতী ত্রিপুরার বাড়িতে যান ডিসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চার বছর আগে বিনতী ত্রিপুরার স্বামী গোপাল ত্রিপুরা মারা যান। তখন থেকেই শুরু তার দুর্বিষহ জীবন সংগ্রাম। ওয়াক্রাকপাড়া এলাকায় সরকারি খাস জমিতে ভাঙাচোরা একটি ঘরে চার সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন বিনতী। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকি তিন ছেলেমেয়েকে অর্থের অভাবে পড়ালেখা করাতে পারেননি। সারাদিন লতাপাতা ও শাকসবজি কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এই নারী। বিধবা এবং দুস্থ হলেও পাননি কোনও সরকারি ভাতা।

কষ্টে জীবনযাপনের কথা শুনে বুধবার বিকেলে বিনতীর বাড়ি গিয়ে জমিসহ সরকারি একটি পাকা ঘর দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চদ্র বিশ্বাস। একই সঙ্গে বিনতী ত্রিপুরাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। বিনতী যাতে বিধবা ভাতা পান, সেটি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে তার এক সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন শুনে তার বাড়িতে সহায়তা নিয়ে এসেছি আমরা। কয়েকদিনের মধ্যে বিনতী ত্রিপুরার জন্য সরকারি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করবো।

জমিসহ ঘর ও নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে কৃতজ্ঞতা জানালেন বিনতী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, থাকার জন্য একটি ঘর আমাদের খুব দরকার ছিল।

এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা মতিন ও ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা।