চাঁদপুরে বন্ধ টিকাদান, কেন্দ্রে এসে ফিরে গেলো শত শত মানুষ

চাঁদপুরে মজুত শেষ হওয়ায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আগে না জানানোয় মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন শত শত মানুষ।

তারা বলছেন, টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। তাই টিকা নিতে নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কেন্দ্রে এসে হাজির হন। এরপর এসে জানতে পারেন, আজ টিকা দেওয়া হবে না। টিকাদান বন্ধের বিষয়টি না জানানোয় দূর-দূরান্ত থেকে এসে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা।

কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রসহ শহরের দুটি কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভোর থেকেই শত শত মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে টিকা নিতে আসা এ মানুষগুলোর বেশিরভাগই নারী।

টিকা নিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়ান প্রার্থীরা

সদর উপজেলার বহরিয়া থেকে আসাসত্তরোর্ধ্ব আফিয়া খাতুন বলেন, ‘টিকা নেওয়ার জন্য ভোরে বাড়ি থেকে এখানে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর এখন কেউ কেউ বলছেন, টিকা দেওয়া হবে না। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।’

মহামায়া এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এসএমএস পেয়েছি ৩১ আগস্ট। তাই ভিড় এড়াতে সকালেই বাড়ি থেকে কেন্দ্রে এসে সিরিয়ালে দাঁড়িয়েছি। এখন শুনছি ভ্যাকসিন শেষ। বিষয়টি আগে জানলে আসতাম না।কবে, কখন থেকে টিকাদান বন্ধ থাকবে বা কবে থেকে টিকাদান শুরু হবে এ বিষয়টি আগে থেকেই সবাইকে জানানো দরকার।’

বিষ্ণুদী এলাকার তফুরা বেগম বলেন, ‘আমাদের চার জনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল গত ২৮ আগস্ট। সেদিন দুপুরে আমরা কেন্দ্রে এসেও লম্বা লাইনের কারণে টিকা দিতে পারিনি। এরপর দিন গেল জন্মাষ্টমীর বন্ধ। আজ মঙ্গলবার ভোরে কেন্দ্রে এসেছি। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের কোনও লোকজন দেখছি না। এখন বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিন নেই।’

টিকা শেষ হওয়ার বিষয়টি আগে না জানানোয় ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা

পুরানবাজার এলাকার হাসিনা বেগম বলেন, ‘টিকা দেওয়া বন্ধের বিষয়টি আগেই জানানো উচিত ছিল। এসএমএস পাওয়ার পর গত তিন দিন ধরে টিকা নিতে এসেও পাইনি।’

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ বলেন, করোনার টিকা শেষ হয়ে গেছে। তাই আজ থেকে আপাতত টিকাদান বন্ধ রয়েছে। আগামী সপ্তাহে টিকা আসবে। তখন আবার কার্যক্রম শুরু হবে।