ডাকছে আবার শালবন-ময়নামতি 

ইতিহাস-ঐতিহ্য অনেকটা চুম্বকের মতো। এর অমোঘ টান এড়ানো যায় না। আর তাই ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর যখনই চালু হলো, তখনই ঐতিহ্যপ্রেমীরা ছুট লাগালেন কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যসমৃদ্ধ শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে।

উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বাকি সব। কোটবাড়িসহ শহরতলীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোও এখন মুখর। নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ঐতিহ্য আস্বাদনকারীরা। বিশেষ করে শুক্রবারটা যেন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর হয়ে উঠছে নগরী ও শহরতলীতে ছড়িয়ে থাকা বিনোদনকেন্দ্রগুলো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অনেকেই আসছেন শালবন বিহারে। জানার চেষ্টা করছেন এর ইতিহাস, ঐতিহ্য। ময়নামিত জাদুঘরেও ভিড় লেগে আছে। বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে স্থানীয়দের ভিড়টাই বেশি। বিশেষ করে দীর্ঘ ঘরবন্দি দশা শিশুদের প্রভাবমুক্ত করতে অভিভাবকরা আসছেন নির্মল বিনোদনের খোঁজে। শিশুরাও অনেক দিন পর তাদের প্রিয় রাইডগুলো চড়তে পেরে উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে চাঁদপুর থেকে শালবন বিহারে আসেন মোজাম্মেল হোসেন। বললেন, অনেকদিন ধরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুমিল্লা ঘোরার পরিকল্পনা ছিল তার। শুক্রবার সময় পেতেই চলে আসেন শালবন বিহারে। ‘আগের চেয়ে বিহারের পরিবেশ বেশ পরিপাটি হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানরাও বেশ খুশি।’ জানালেন তিনি।

শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর দেখতে আসা স্কুল শিক্ষিকা রিনা আক্তার বলেন, ‘প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কুমিল্লা। সন্তানকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি এসব স্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে। নিজেও উপভোগ করছি।’

ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টডিয়ান হাসিবুল হাসান সুমি বলেন, ‘করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন শালবন বিহার, ময়নামতি জাদুঘরসহ পর্যটন স্থানগুলো বন্ধ ছিল। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। শুরুতে পদচারণা কম থাকলেও এখন বাড়ছে।’