বিএনপির সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল: মির্জা ফখরুল

কুমিল্লার ঘটনা ও সাম্প্রদায়িক হামলায় আওয়ামী লীগ সরকার মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘সরকারি একটি মহলের ইঙ্গিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, যা দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে। জাতীয়তাবাদী দল সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। আমাদের সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সবসময় বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি করছে।’

তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নিতে তারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকালকেও এই বিষয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হোক। বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে। সেই নেত্রীকে আজকে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা ও পুরনো রোগে গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তাকে কারাগারে রাখার কারণে চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার পুরনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসারা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।’ তিনি বেগম খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য চট্টগ্রামবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আবুল মান্নান, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।