চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে আরও ৩৭৯ রোহিঙ্গা

সপ্তম দফায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও ৩৭৯ জনকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে তাদেরকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বৃহস্পতিবার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৩২ জন পুরুষ, ৯৮ জন নারী ও ১৪৯ জন শিশু রয়েছে।

জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ার পর এটাই ভাসানচরে প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সাত দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১৮ হাজার ৮৭৯ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়।

গত মঙ্গলবার রাতে ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের টেকনাফ থেকে প্রথমে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী প্রত্যাবাসন কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বুধবার সকালে বাসে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নেওয়া হচ্ছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছে। ওই বছরের নভেম্বরে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।