‘সরকার মওলানা ভাসানীকে মানুষের হৃদয় থেকে তুলে দিতে চায়’

রক্তাক্ত রাজনীতি ১৯৭২ সাল থেকে শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সাল থেকেই যখন মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘১৯৭০ সালের গণপরিষদের নির্বাচন নয়, নতুন সংবিধানের আলোকে নির্বাচন দেন। মানুষ নতুন দেশে তাদের মনের মতো করে প্রতিনিধি বাছাই করুক।’ তার সেই কথা না রেখেই শুরু হলো রক্তাক্ত রাজনীতি। সে ধারাবাহিকতা আজও রয়ে গেছে। এই সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। এ সরকার মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে মানুষের হৃদয় থেকে তুলে দিতে চায়। কিন্তু তারা চেষ্টা চালালেও তা কখনও সম্ভব হবে না।’’

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) কুমিল্লায় আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘তিনি (ভাসানী) ব্রিটিশ-ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তানের শাসনামলেও শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। ফারাক্কা বাঁধ হতে শুরু করে ভারত বাংলাদেশের ওপর যত অত্যাচার করেছে সব অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম কথা বলেছিলেন মওলানা ভাসানী।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তার মুরাদের মতো লোকেরা পদত্যাগ করতে হবে না। যেখান থেকে ডাক্তার মুরাদদের সৃষ্টি হয় তাদের পদত্যাগ করতে হবে। তবেই শান্তিতে বাঁচতে পারবেন দেশের মানুষ।’

গণসংহতি আন্দোলন লড়াইয়ের সূচনা করেছে বলেও জানান তিনি। সব ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদে সবাইকে লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

কুমিল্লা বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তনের গণপাঠাগারের মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদ কুমিল্লা জেলার সভাপতি ডা. মো. হেদায়েত উল্লাহ। গণসংহতি আন্দোলন সদর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান মজুমদারের সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন কুমিল্লা জেলা সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান লিটন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা ইকবাল আনোয়ার ও ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ কুমিল্লা জেলার সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন বাবলু ও খন্দকার হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিয়াজীসহ কুমিল্লা জেলা ও কেন্দ্রীয় সদস্যবৃন্দ।