হাতি হত্যার দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারে

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার লটমনি পাহাড়ে হাতি হত্যার দায়ে বাবা ও ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বাঁশখালী আমলি আদালতের বিচারক মো. মাইনুল ইসলাম লিপু এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো দুজন হলেন- বাবা কামাল হোসেন ও ছেলে নেজাম উদ্দিন।

হাতি হত্যার দায়ে কাউকে জেলে পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম দাবি করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা (দক্ষিণ) সফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর বাঁশখালীর লটমনি পাহাড়ি এলাকায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে কামাল ও নেজাম হাতিটিকে হত্যা করে মাটিচাপা দেন। পরবর্তী সময়ে বন বিভাগ সাধনপুরের বিট কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে বাঁশখালীর আমলি আদালতে মামলা করেন। দুই আসামি আজ আদালতে এসে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

মামলার বাদী মো. দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধান ক্ষেতে পাহারা বসিয়ে হাতি তাড়ানোর জন্য বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার করা হয়। এতে জড়িয়ে ৩০ নভেম্বর হাতিটি মারা যায়। আসামিরা হাতিটিকে মাটিচাপা দেয়। স্থানীয়রা সেটি দেখতে পেয়ে বাঁশখালী বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানায়। সাফারি পার্ক ও বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের চিকিৎসক হাতির মরদেহ পরীক্ষা করলে বৈদ্যুতিক শকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন।’

গত এক মাসে সাতকানিয়া, চকরিয়া, ঈদগাহ ও বাঁশখালীতে বিভিন্ন কারণে পাঁচটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। শুধু বাঁশখালীতেই ১৯ দিনের ব্যবধানে দুটি হাতির মৃত্যু হয়।