ভাসানচরের পথে আরও ৬০০ রোহিঙ্গা

চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌ বাহিনীর দুটি জাহাজ। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর রওনা দেওয়া জাহাজ দুটিতে রয়েছে ৬০০ রোহিঙ্গা। শুক্রবার বিকালে এসব রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। শনিবার দুপুরে ওই দ্বীপে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) নওশের ইবনে হালিম।

নওশের বলেন, ‘আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ভাসানচরে পৌঁছানোর পর তাদের শেল্টারে তুলে দেওয়া হবে।’ 

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সাত দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠায় সরকার। এ ছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে রাখা হয়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। তাদের বেশির ভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে পালিয়ে এসেছিলেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।