ভাসানচরের পথে আরও ১ হাজার রোহিঙ্গা

কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে আরও এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১৯টি বাসে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তারা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দেয়। 

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে ভাসানচরে পৌঁছাবে তারা। এবারে (দুই অংশে) আরও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার ভাসানচর যাওয়ার কথা রয়েছে। 

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, এগারো দফায় প্রথম অংশে এক হাজার রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা যাওয়ার কথা রয়েছে। এবার প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছে।

৮-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, এক হাজার রোহিঙ্গা ১৯টি বাসে রওনা দিয়েছে। আজ চট্টগ্রামে থাকবে তারা। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে সকালে নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।

নৌবাহিনীর জাহাজে বৃহস্পতিবার ভাসানচরে পৌঁছাবে রোহিঙ্গারা

উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ১৪ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক জানান, এগারো দফায় উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে এক হাজার ৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। 

২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রায় ২২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছে। ওই বছরের নভেম্বরে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।