ভাসানচরের পথে আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গা 

কক্সবাজার থেকে ১২ দফার প্রথম পর্বে নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছেন তিন হাজার রোহিঙ্গা। বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে ১৪শ’ রোহিঙ্গা ১৪টি বাসে টেকনাফের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামে রওনা দেন। বিকালে ৩২টি বাসে রওনা দেন আরও ১৬শ’ জন।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. শামসুদ্দোহা নয়ন জানান, আগের নিয়মে রাতে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকায় অবস্থান করবেন তারা। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে তাদের ভাসানচর পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১১তম দফায় এক হাজার ৬৫৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় এক হাজার ২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।

৮-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, এবার তার শিবির থেকে সাড়ে ৪শ’ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ভাসানচরে উন্নত জীবনব্যবস্থা থাকায়, সেখানে যেতে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ বাড়ছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাসানচর পৌঁছাবে তারা

উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ-১৪ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক জানান, ১২ দফায় উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে।’ 

২০২১ সালের বছরের ডিসেম্বর থেকে এগারো দফায় প্রায় ২২ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।