ধর্ষণের পর ছাত্রের মৃত্যু, মাদ্রাসাশিক্ষকের যাবজ্জীবন ও ৩০ লাখ অর্থদণ্ড

খাগড়াছড়িতে ছাত্রকে ধর্ষণের পর মৃত্যুর ঘটনায় নোমান মিয়া নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা ছাত্রের পরিবারকে দিতে বলেছেন বিচারক।

বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবু তাহের এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নোমান মিয়া (৩০) দীঘিনালার ছোট মেরুং ৩ নম্বর কলোনি এলাকার আলী মিয়ার ছেলে ও আল ইকরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। 
 
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো বলেন, ২০১৭ সালের জুন মাসে ওই ছাত্রকে (১০) একাধিকবার ধর্ষণ করে হাফেজ শিক্ষক নোমান মিয়া। বিষয়টি জানার পর একই বছরের ২৩ আগস্ট দীঘিনালা থানায় মামলা করেন ছাত্রের বাবা। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে ওই ছাত্র মারা যায়। একই বছরের ২২ এপ্রিল মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ১২ জনের সাক্ষ্য নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মঞ্জুর মোরশেদ ভূঁইয়া বলেন, ‌‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’