ভাসানচরে যাচ্ছে আরও ১১শ’ রোহিঙ্গা

১৩ দফার প্রথম ধাপে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচর যাচ্ছে এক হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ২০টি বাসে টেকনাপের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তারা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দেয়।

বিকালে আরও একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করার কথা রয়েছে। আজ চট্টগ্রামে থাকবে তারা। বুধবার (৩০ মার্চ) সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছাবে। 

উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ১৪ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক জানান, এবার প্রথম অংশে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রায় ১১শ’ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে। বিকালে আরও একটি রোহিঙ্গা দল যাওয়ার কথা রয়েছে। তারা কতজন যাবে এই ‍মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

বুধবার (৩০ মার্চ) নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছাবে তারা
 
এদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১২ দফায় প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠানো হয়। এছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

৮-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, এবারও তার শিবির থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। অন্যবারের চেয়ে এবারের সংখ্যা বেশি হতে পারে। বিকালে কয়েকজনের যাওয়ার কথা রয়েছে।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন জানান, এবার ২ থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।