আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায়

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজট নেই। তবে মহাসড়কের পাশের কয়েকটি বাজারে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। বিগত বছরগুলোতে যেখানে মানুষ যানজটে নাজেহাল হয়ে ঘরে ফিরতো এবার গাড়ির চাপ থাকা স্বত্ত্বেও যানজট নেই। এ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঘরে ফেরা মানুষজন। আড়াই ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যাচ্ছেন যাত্রীরা। 

শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। গত দুই দিনের তুলনায় যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যানের সংখ্যাও কম।

কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সব অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়েছে।মহাসড়কে সব প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের কর্মতৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি স্পেশাল পেট্রোল টিম মহাসড়কে রয়েছে। ৫৬টি সাধারণ পেট্রোল টিম, ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম, ১১টি রেকার, সাতটি কন্ট্রোলরুম একসঙ্গে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছে। এছাড়া মলম পার্টি, চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধে পদক্ষেপসহ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে কঠোর মনিটরিং, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কারণে মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হচ্ছে। এ কারণে এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ দ্বিগুণ থাকলেও যানজটের লেশমাত্র নেই। 

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার রয়েল কোচ বাস কাউন্টারের চেকার সুমন মিয়া বলেন, ‌‘আমাদের কোনও গাড়ি যানজটে আটকা নেই। যাত্রীদের খুব ভালোভাবেই গন্তব্যে নামিয়ে দিতে পারছি আমরা।’

কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকায় তিশা বাস থেকে নামা যাত্রী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসতে আমার আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। রাস্তা পুরাই ফাঁকা। মাঝেমধ্যে দু’একটা বাজারে বাস ধীরগতিতে না চললে আরও আগে আসতে পারতাম।’

রয়েল কোচ বাসের যাত্রী আলমগীর হোসেন, ইব্রাহীম ও আরিফুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মহাসড়কের কোথাও যানজটে পড়িনি। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির। মাত্র দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পৌঁছেছি।’ 

দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দাউদকান্দি এলাকায় যানজট নেই। এবার যানজট লাগবে না। আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে আছি। গাড়ির চাম কমে এসেছে।’

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, ‘মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয়, সেজন্য সেবার পরিসর বাড়ানো হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করছে। কমিউনিটি পুলিশ আমাদের সহায়তা করছে। রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরানোর ব্যবস্থা করছি। যার কারণে খুব আরামে ঘরে ফিরছেন মানুষজন। মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই।’