একটা পরিবার পুরো দেশ কাঁপাই দিছে: এমপি একরামুল

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‌‘ভাইকে (মেয়র আবদুল কাদের মির্জা) বাঘের চাইতেও বেশি ভয় পায়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জে মার্কা দেয় নাই, কিন্তু কবিরহাটে কেন দেওয়া হলো? কারণ একটাই কবিরহাটের মানুষ ভালো। কোম্পানীগঞ্জের মতো মির্জা নাই এখানে।’

বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছো বিনিময়কালে এসব কথা বলেন একরামুল করিম।

তিনি বলেন, ‘একজন ভাবি (ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী) মায়ের মতো। সেই ভাবিকে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য রাখছে। এটা কি পৃথিবীর মানুষ দেখে নাই? কিন্তু কোনও বিচার নাই। আমি শুধু এইটুকু বলেছি, ওই পরিবারের লোক...। বাহ, আমার সাধারণ সম্পাদকগিরি বাদ। কতদিন আপনি বাদ রাখবেন, রাখেন। মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়ায়, মানুষের যখন মাথায় লাগে, তখন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এখন মানুষ ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছে।’

একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কবিরহাটের একজনের নেতৃত্ব চাই। আমরা কি সারাজীবন তাদের গোলাম থাকবো? একটা পরিবার পুরো বাংলাদেশ কাঁপাই দিছে। আমাকে প্রধানমন্ত্রী হাত বেঁধে দিছে। উনি আমার কাছে খবর পাঠিয়েছেন। আমি যেন একটা কথাও তাদের বিরুদ্ধে না বলি। আমি বলবো না। এমনও শোনা যায়, অনেকে কথা বলার জন্য অনেক টাকা পাইছে। নিজ ঘরে আগুন লাগিয়ে কেউ আলু পোড়াতে চায়। তাহলে ঘরও কয়লা হয়ে যাবে, আলুও কয়লা হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কবিরহাটের লোকই তাকে (ওবায়দুল কাদের) এমপি বানাইছে। আজকে কবিরহাট তিন ভাগে বিভক্ত। নেতৃত্ব যদি ঠিক না থাকে, কবিরহাটের মানুষ কেন যাবে আপনাদের কাছে। খালি এমপিগিরি করার জন্য ঢাকায় বসে থাকলে তো হবে না।’

একরামুল করিম বলেন, ‘আমি ওপরে অনেক কথাবার্তা বলেছি। আমি শেখ হাসিনার কর্মী। যারা আমাকে সরাইতে চাইছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আপনারাও থাকেন কিনা তা দেখার বিষয়। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না। আপনারা ভারপ্রাপ্ত, কয়েকজন ফোন করে বলেছে মাইজদীতে (আজ ওবায়দুল কাদেরের সভায়) এক হাজার লোক হয় নাই। ওবায়দুল কাদেরের প্রোগ্রামে যদি এক হাজার লোক হয়, এটা তো আমাদের জন্য লজ্জার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে কবিরহাটের অনেকের রাগ, আমি কেন দুই আসনের জন্য বলেছি। আরে দুই আসনের জন্য বলেছি এজন্য, কবিরহাটের মানুষ অবহেলিত। অবহেলিত মানুষকে বুকের মধ্যে টানার জন্য বলেছি। তারা আমাকে সৃষ্টি করে সদর-সুবর্ণচর পাঠিয়েছে।’