এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৫

চাঁদপুর থেকে মাওয়ায় ঘুরতে যাচ্ছিলেন নিহত তিন বন্ধু

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভেকু মেশিন বহনকারী একটি লরির সঙ্গে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন জনই চাঁদপুরের। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া সিএনজি স্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

চাঁদপুরের নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ইচলি এলাকার কলমতর গাজী বাড়ির এনায়েত উল্লাহ গাজীর একমাত্র ছেলে সামাদ গাজী (২৪), পল্লী বিদুৎ এলাকার আবুল কালামের ছেলে আহাদ (২০) ও একই এলাকার সিপাত (২০)। তারা তিন জনই বন্ধু।

নিহত চাঁদপুরের তিন জনের লাশ শুক্রবার সকালে বাড়িতে নিয়ে আসার পর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার বাতাস।

নিহত সামাদের জেঠাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশে তারা তিন বন্ধু চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যায়। সেখান থেকে মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে বিক্রমপুরের এক বন্ধুও ছিলেন। রাতে বন্ধুদের বাসায় থেকে শুক্রবার পদ্মা সেতু দেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু চার বন্ধু মিলে রাতে অটোরিকশাযোগে মাওয়া যাওয়ার পথে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া এলাকায় লরির সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে তিন জন চাঁদপুরের আরেকজন বিক্রমপুরের। নিহত আরেকজন হলেন অটোরিকশার চালক। পুলিশের কাছে আবেদন করে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।’

নিহতদের বন্ধু রাব্বি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাও করেছিল আমি যাবো কি-না? প্রথমে যাবো বললেও শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় যেতে পারিনি। এর মধ্যে তাদের সঙ্গে কয়েকবার তাদের সঙ্গে ইমোতে কথা হয়েছে। কিন্তু রাতে দুর্ঘটনার খবর পাই।’

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুর রশিদ চাঁদপুরের তিন জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।