ইসির নির্দেশের পরও এলাকা ছাড়েননি এমপি বাহার

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনি এলাকা ছাড়তে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বুধবার (৮ জুন) এ নির্দেশনা দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তাকে নির্বাচনি এলাকায় দেখা গেছে।

দলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার মুন্সেফবাড়ি থেকে দুপুরে বুড়িচং উপজেলার কাবিলা এলাকার হোটেল নূর মহলে যান এমপি বাহার। সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে এক সমাবেশে যুক্ত হন তিনি। পরে বিকাল চারটায় তিনি নির্বাচনি এলাকার রামঘাট দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন। রাতে তিনি আবার নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে যান। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। 

সংসদ সদস্য বাহারকে নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

এর আগে, বুধবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমপি বাহারকে নির্দেশনার চিঠিতে এলাকা ছাড়তে কোনও সময় উল্লেখ ছিল না। অনতিবিলম্বে সংসদ সদস্যকে নির্বাচনি এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নির্বাচনি এলাকায় আছেন কি-না আমি বলতে পারবো না। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন থেকে দেখছে। 

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমপি বাহার নির্বাচনের কোনও কাজে অংশ নিচ্ছেন না। তিনিতো একজন জনপ্রতিনিধি। ১৫ তারিখ পর্যন্ত তিনি কি এমপির দায়িত্ব পালন করবেন না? দায়িত্বের খাতিরেই তিনি কুমিল্লায় আছেন এবং থাকবেন। 

এছাড়াও আমরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি। শনিবার (১১ জুন) এই বিষয়ে আমাদের জানানো হবে। এরপর কি করা যায় দেখবো। 

এ বিষয়ে জানতে এমপি বাহারের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি। কোনও নির্বাচনি প্রচারেও অংশ নেইনি। কারও কাছে ভোটও চাইনি। এমনকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে যে নির্বাচনি ক্যাম্প হয়েছে সেখানেও আমি যাইনি। আমি তো এই এলাকার জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব থাকে, কাজ থাকে। মানুষ আমার কাছে আসে। সেই দায়িত্ব পালনে নিষেধের কথা তো কোথাও বলা নেই।’