চট্টগ্রামে একদিনে ১১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন

চট্টগ্রামে কমছে না ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্ত অনেকের শরীরে মিলেছে কলেরার জীবাণু। 

এরই মধ্যে ডায়রিয়ার কারণ চিহ্নিত করতে গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) থেকে কাজ করছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি দল। সাত সদস্যের এ টিম নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সোমবার (২২ আগস্ট) টিমের সদস্যরা নগরীর ৩৭ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করবেন। এসব এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করবেন তারা।

এদিকে, ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় ১৫টি উপজেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ১৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মীরসরাইয়ে তিন, সীতাকুণ্ডে চার, ফটিকছড়িতে ছয়, হাটহাজারীতে আট, রাউজানে দুই, রাঙ্গুনিয়ায় তিন, বোয়ালখালীতে দুই, আনোয়ারায় পাঁচ, পটিয়ায় আট, বাঁশখালীতে আট, চন্দনাইশে ১০, সাতকানিয়ায় ছয় ও লোহাগাড়া উপজেলায় তিন জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডায়রিয়া রোগীদের শরীরে কলেরার জীবাণু

বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের দিন শুক্রবার ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। ডায়রিয়া আক্রান্ত অনেকের শরীরে মিলেছে কলেরার জীবাণু। ১৯ আগস্ট ভর্তি হওয়া ১৪ রোগীর নমুনা পরীক্ষায় সাত জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে, ১৮ আগস্ট আট জনের নমুনায় দুই জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে। ১৭ আগস্ট ৯ জনের নমুনায় ছয় জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডায়রিয়া আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এক-দুই দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলায় ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত আছে। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’