লঞ্চের কেবিনে তরুণীর লাশ, ২ বছরেও মেলেনি পরিচয়

চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথে চলাচল করা যাত্রীবাহী লঞ্চ আব-এ-জমজমের কেবিনে দুই বছর আগে এক তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই তরুণীর পরিচয় আজও মেলেনি। নৌ পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষাসহ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েও পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী আব-এ-জমজমের ২৩৫ নম্বর স্টাফ কেবিন ৬০০ টাকায় ভাড়া নেন ওই তরুণী ও এক তরুণ। অতিরিক্ত ভাড়া পাওয়ায় পরিচয়পত্র না রেখেই কেবিনটি ভাড়া দেন লঞ্চের কর্মী সুজন মোল্লা (২২), রাসেল খান (২৮) ও মাসুম গাজী (৪২)। এই কক্ষটি তারা ব্যবহার করতেন। ভাড়া দেওয়ার পর ওই দিনই কেবিনটির তালা ভেঙে তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পায়জামার ফিতা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পর লঞ্চের স্টাফ রাসেল, সুজন ও মাসুমকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় চাঁদপুর নৌ থানার এসআই ইলিয়াছ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। আর ওই লঞ্চের তিন কর্মীকে মামলায় সন্দেহজনক গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‌‌‘আব-এ-জমজম লঞ্চের ইঞ্জিন গিজারদের কেবিনে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার হলেও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। স্বজনদের সন্ধান না পাওয়ায় তদন্ত কাজও এগিয়ে নিতে দেরি হচ্ছে।’

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘ওই তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর বেওয়ারিশ হিসেবে চাঁদপুরেই দাফন করা হয়। আমরা ডিএনএ টেস্ট করেছি। তবে তার বয়স ১৬-১৭ বছর হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। এ কারণে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই তরুণীর পরিচয় পেলে মামলার তদন্ত কাজে আরও অগ্রগতি হতো। যদি কেউ তার পরিচয় জেনে থাকেন, তাহলে দ্রুত চাঁদপুর নৌ থানায় যোগাযোগের অনুরোধ করা হলো।’