‘বিমানবন্দরগুলোর সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের করতে কাজ চলছে’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের পর্যটন শিল্পসহ সম্ভাবনাময় সব খাতকে সমৃদ্ধ করতে চট্টগ্রামে চলমান সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামকে ভালোবাসতেন মনেপ্রাণে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর সেটি করা আর সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যেন একজন পর্যটক বিমান নেমেই বুঝতে পারেন, সে লক্ষ্যে বিমানবন্দরগুলোর সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য কাজ চলছে। দেশের উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে আমরা পর্যটন শিল্পে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবো।’

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলেক্ষ আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্টার দা সূর্য সেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের হাত ধরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল। এছাড়া শেফালী ঘোষ, আইয়ুব বাচ্চু, শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব, কল্যাণী ঘোষদের স্মৃতিবিজড়িত বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি এই চট্টগ্রাম। পাহাড়, সাগর ও নদীবেষ্টিত চট্টগ্রামের মতো সুন্দর শহর পৃথিবীর কোথাও নেই।’

হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম হাকিম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক। 

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও হোটেল আগ্রাবাদের এইচআর ম্যানেজার সাইফুর রহমান।