‘আমি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের সেবা করবো’

নির্দিষ্ট কোনও এলাকার নয়, পুরো চট্টগ্রামের মানুষের সেবক হতে চান নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬০ মানুষের সেবা করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম গড়তে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করবো।’

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১২ দফা ঘোষণা করেছিল আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। আগে ওই ১২ দফা বাস্তবায়নে কাজ করবো।’ 

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবো।

আমার এই বিজয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উল্লেখ করে পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চট্টগ্রামের রোডম্যাপ তৈরি করে সিটি করপোরেশন ও সব উপজেলায় সমানভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়নকাজ করবো। জেলা পরিষদের সম্পত্তিসমূহ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করবো। প্রবাসীদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবো।’

তিনি বলেন, ‘কারিগরি, প্রযুক্তিগত শিক্ষাসহ সাধারণ শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করবো। কৃষি অর্থনীতির ভিত শক্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। কৃষিনির্ভর শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করা হবে।’

মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে মাদক-সন্ত্রাসের থাবা থেকে চট্টগ্রামকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করবো। অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে তরুণদের ক্রীড়ামুখী করতে ইনডোর-আউটডোর খেলাধুলা চালুসহ খেলার মাঠ সংস্কার ও আধুনিকায়ন করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুণ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী ও মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা।