ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ 

১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিদায়ী চেয়ারম্যানকে নতুন চেয়ারম্যানের নোটিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শফিকুল আলমের কাছে মানহানির ১০০ কোটি টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন দল সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। বুধবার (৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি আইনি নোটিশ ডাকযোগে শফিকুল আলমের কাছে পাঠানো হয়।

জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তারিক হোসেন জুয়েল স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনের আগে ১৫ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শফিকুল আলম। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ধ্বংসকারী, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যের মহানায়ক বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অটোরিকশা ও পঙ্খিরাজের কথিত অবৈধ লাইসেন্স প্রদানের মূলহোতা, জনবিছিন্ন নেতা ও ভোটারদের ভয় দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। নোটিশে সংবাদ সম্মেলনের এমন বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বলে উল্লেখ করা হয়।

আইনি নোটিশে বলা হয়, শফিকুল আলম নিজেই দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিকবার নির্বাচন করে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। 

অন্যদিকে আল-মামুন সরকার দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।  দলীয় মনোনয়নে ওনার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। কেননা, মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে তা চূড়ান্ত হয়। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে শুধুমাত্র দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা পাঠানো হয়। আল-মামুন সরকার পৌরসভার মেয়র কিংবা মুখ্য কোনও কর্মকর্তাও নন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। 

নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাদীর মানহানির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশ বিষয়ে শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে শুনেছি। এখনেও নোটিশ হাতে পাইনি, পেলে আইনিভাবেই বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে। আমি সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কিছু বলিনি যাতে উনার (আল মামুন সরকারের) মানহানি হয়।