ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৮ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ৫ প্রার্থীকে বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এ তথ্য জানানো হয়।

মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক ৫ বারের সংসদ সদস্য ও বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য, বর্তমানে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টি মনোনীত আবদুল হামিদ ভাসানী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ ও জাকের পার্টির মনোনীত জহিরুল ইসলাম জুয়েল।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৫ প্রার্থী হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ মফিজ, মোহন মিয়া ও  আবদুর রহিম।

জানা যায়, হলফনামায় সই না থাকা, এক শতাংশ ভোটারের সই না থাকা, ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট দাখিল না করাসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহন মিয়া গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। চিকিৎসকেরা জানান, তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আগে থেকেই তার অ্যাজমা সমস্যা ছিল।
 
যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, তারা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে নিবার্চন কমিশন বরাবর আপিল করার সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউই ব্যানার-পোস্টার লাগাবেন না। প্রতীক দেওয়ার পর নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা শুরু করবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অসংগতিপূর্ণ আচরণ ও বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়। তবে এই আসনের উপনির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।