গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের নিরাপদ আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত খুলশী তুলাতুলীতে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেপ্টেম্বের মাসে সেখানে উঠেছিলেন এবং ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
হেলালুদ্দীন আহমদকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার বিকালে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানার অফিসার ও ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুলাতলী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে হেলালুদ্দীনকে আটক করে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে পুলিশের টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ওই টিম এলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় হেলালুদ্দীন আহমদ এজাহারনামীয় আসামি। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে ডিএমপি থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্তের পর হেলালুদ্দীন আহমদকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হেলালুদ্দীন আহমদ ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসরে যান। এর আগে ইসি সচিব ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে একরামুল করিম নামের এক মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের আসামি করে চট্টগ্রামে প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন হেলালুদ্দীন।