‌শব্দ বোমাবাজ সেফুদা নোয়াখালীর আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেছে: এমপি একরাম

নোয়াখালীর পূর্ব দিকের শব্দ বোমাবাজ এক সেফুদা জেলা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘এই সেফুদা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কথা বলে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও বলে, আবার ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও বলে। এখন শুনলাম তার শব্দ বোমা থেকে বাঁচতে সারাদেশের ঠিকাদাররা সেফুদার সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেন তিনি।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তবে এই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য কোনও নেতা উপস্থিত ছিলেন না।

জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করে এমপি একরামুল করিম বলেন, ‘আমি চক্রান্তের শিকার। যে ভদ্রলোক আওয়ামী লীগের মিছিলের ওপর গাড়ি তুলে দিয়েছিলেন, আজ তিনি নোয়াখালী শহরে এসে বড় বড় কথা বলেন।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিমকে ইঙ্গিত করে একরামুল করিম বলেন, ‘এখন মার্কেটে শোনা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধার আপনারা বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। কীভাবে বাড়ি-গাড়ি করেছেন, নোয়াখালী শহরে দুটি ছয়তলা বিল্ডিং কীভাবে করেছেন, কার জায়গার ওপর করেছেন, সবই আমরা জানি। আওয়ামী লীগের কোনও এক নির্বাচনের রাতে বিএনপির শাহজাহান এমপির বাসার সামনের কলাবাগানের ভেতরে মাথায় গামচা ও কম্বল মুড়ি দিয়ে তাকে ডেকে এনে কথা বলেছিলেন, নৌকার প্রার্থীকে হারানোর জন্য। এসব ষড়যন্ত্রের কথা যদি মার্কেটে বলি, আপনার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের লোকজন চেহারাও দেখতে যাবে না।’

এমপির অনুষ্ঠানে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কে অনুষ্ঠান করে কী বললো, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে করা কর্মসূচি নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’ 

একই কথা বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন। তিনি বলেন, ‘এটি এমপি একরামের ব্যক্তিগত সভা। এর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। জেলা আওয়ামী লীগ জাতির পিতার স্মরণে পৌরসভাসহ প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়নে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল করেছে। এজন্য আমরা এমপির ব্যক্তিগত সভায় যাইনি।’